রবিবার   মে ৪ ২০২৫   ২১  বৈশাখ  ১৪৩২


চট্টগ্রাম পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পরিক্ষা ও ল্যাব অপারেশন থিয়েটার, ল

Mohammad Obaidullah Chowdhury

Updated 25-Jan-11 /   |   চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধি   Read : 108
ছবি
ছবি

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পরীক্ষা ও ল্যাব ,পটিয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ কী বেহাল দশায়, 

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ চলতেছে দূর্নীতি আর দালালদের মহড়া। আর এই মহড়ায় শিকার হচ্ছেন গরিব অসহায় মানুষ। যারা চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় খালি হাতে। 
ভাটিখাইন গ্রামের ফারজানা আক্তার। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে যান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ল্যাবে গিয়ে জানতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। বহিঃবিভাগের করিডোরে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন রিকশাচালক করিম মিয়া। সন্তানের হাতের এক্সরে করাতে এসেছিলেন তিনি। এসে জানতে পারেন হাতপাতালে বহুদিন ধরে এক্সরে পেপার স্বল্পতায় বন্ধ হয়ে আছে এ সেবা। এদিকে ডেলিভারির সময় পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালের বাইরে বসিয়ে খোঁজাখুঁজি করছেন হতদরিদ্র কৃষক মহিউদ্দিন। গাইনি ডাক্তারের অভাবে হাসপাতালে নেই সিজারের সুবিধাও। এভাবে দিনের পর দিন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এক্সরে, ডেঙ্গু টেস্ট, প্রসূতি মায়েদের সিজারসহ ছোট-বড় সব ধরনের অপারেশন রোম।
এ ছাড়া ডাক্তারদের অনিয়মিত আসা-যাওয়া, ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করানো, দালালদের দৌরাত্ম্য, তদারকির অভাবসহ নানা সমস্যা জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডেঙ্গু টেস্টের কিট ও এক্সরে পেপার শেষ এবং সার্জারি ডাক্তার চলে যাওয়ার পর শূন্য পদের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
এ ছাড়া পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দখল করে রেখেছে একটি দালাল চক্র। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নেন দালালরা। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিজন রোগীকে বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করে দেওয়ার বিনিময়ে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিশন পায় দালালরা গাইণী ডাঃ রা নিয়মিত রোগী দেখেন প্রাইভেট হসপিটালে।